অবশেষে পুবালী ব্যাংকে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লকার বিশেষ ব্যবস্থায় ভাঙা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) গত ১০ সেপ্টেম্বর লকারটি জব্দ করেছিল।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এ লকার ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে একটি চটের ব্যাগ। অন্য কিছুই সেখানে মেলেনি। উদ্ধার করা চটের ব্যাগটিও ব্যাংকের তরফে দেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখা সূত্র জানায়, রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত করপোরেট শাখার ১২৮ নম্বর লকারটি শেখ হাসিনা কখনোই ব্যবহার করেননি। পূবালী ব্যাংক সৌজন্যের খাতিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এ লকার বরাদ্দ করেছিল। পরে উত্তরাধিকার সূত্রে সেটি শেখ হাসিনার নামে বরাদ্দ হয়।
এনবিআরের গোয়েন্দা সেলের কর্মকর্তারা ধারণা করছিলেন, লকারে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকতে পারে। শুধু চটের বস্তা মিলবে, এমনটা ভাবেননি তারা।
জানা গেছে, পূবালী ব্যাংকে থাকা লকারটির মালিকানা শেখ হাসিনার হলেও সেটির চাবি কোথায় তা জানতেন না। দীর্ঘদিন ভাড়া বকেয়া থাকায় ব্যাংক তাদের নথি মিলিয়ে বিষয়টি অবহিত করে। গতবছর তিনি এ লকারের বিপরীতে ২২ বছরের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করেন। তবে লকারটি তিনি ব্যবহার করেননি।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সকল তথ্য জানলেও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সন্দেহ দূর হচ্ছিল না। আবার আইন অনুযায়ী তখন লকার ভাঙার সুযোগ ছিল না। অবশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবার লকারটি ভাঙা হয়।
১০ সেপ্টেম্বর লকারটি জব্দ করার দিনেই করপোরেট শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাবও পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হিসাবে প্রায় ১২ লাখ টাকা স্থায়ী আমানত (এফডিআর) এবং অন্যটিতে ৪৪ লাখ টাকা জমা ছিল।

বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫
অবশেষে পুবালী ব্যাংকে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লকার বিশেষ ব্যবস্থায় ভাঙা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) গত ১০ সেপ্টেম্বর লকারটি জব্দ করেছিল।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এ লকার ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে একটি চটের ব্যাগ। অন্য কিছুই সেখানে মেলেনি। উদ্ধার করা চটের ব্যাগটিও ব্যাংকের তরফে দেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখা সূত্র জানায়, রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত করপোরেট শাখার ১২৮ নম্বর লকারটি শেখ হাসিনা কখনোই ব্যবহার করেননি। পূবালী ব্যাংক সৌজন্যের খাতিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এ লকার বরাদ্দ করেছিল। পরে উত্তরাধিকার সূত্রে সেটি শেখ হাসিনার নামে বরাদ্দ হয়।
এনবিআরের গোয়েন্দা সেলের কর্মকর্তারা ধারণা করছিলেন, লকারে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকতে পারে। শুধু চটের বস্তা মিলবে, এমনটা ভাবেননি তারা।
জানা গেছে, পূবালী ব্যাংকে থাকা লকারটির মালিকানা শেখ হাসিনার হলেও সেটির চাবি কোথায় তা জানতেন না। দীর্ঘদিন ভাড়া বকেয়া থাকায় ব্যাংক তাদের নথি মিলিয়ে বিষয়টি অবহিত করে। গতবছর তিনি এ লকারের বিপরীতে ২২ বছরের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করেন। তবে লকারটি তিনি ব্যবহার করেননি।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সকল তথ্য জানলেও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সন্দেহ দূর হচ্ছিল না। আবার আইন অনুযায়ী তখন লকার ভাঙার সুযোগ ছিল না। অবশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবার লকারটি ভাঙা হয়।
১০ সেপ্টেম্বর লকারটি জব্দ করার দিনেই করপোরেট শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাবও পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হিসাবে প্রায় ১২ লাখ টাকা স্থায়ী আমানত (এফডিআর) এবং অন্যটিতে ৪৪ লাখ টাকা জমা ছিল।

আপনার মতামত লিখুন