বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
মিরর বাংলা

মিশরের গ্র্যান্ড মিউজিয়ামে ৭০০০ বছরের ইতিহাস


মিরর ডেস্ক
মিরর ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫

মিশরের গ্র্যান্ড মিউজিয়ামে ৭০০০ বছরের ইতিহাস
ছবি : সংগৃহীত

প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি মিশর আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দিয়েছে। এটি হলো আধুনিক যুগের এক সাংস্কৃতিক মহাকেন্দ্র-  গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম (জিইএম)। গিজায় অবস্থিত খুফুর মহাপিরামিডের কাছেই এর অবস্থান। বিশ্বের বৃহত্তম প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর হিসেবে বর্ণিত এই মিউজিয়ামে আছে প্রায় ১ লাখ নিদর্শন। এসব নির্দশন প্রাক-রাজবংশীয় যুগ থেকে শুরু করে গ্রিক ও রোমান আমল পর্যন্ত ৭০০০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

বিখ্যাত মিশরবিদরা মনে করছেন, এই জাদুঘরের উদ্বোধন তাদের সেই দাবিকে আরও জোরালো করবে যে, মিশরের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নবস্তুগুলো, যেগুলো বিদেশে সংরক্ষিত, সেগুলো ফেরত দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে লন্ডনের বৃটিশ মিউজিয়ামে থাকা বিখ্যাত রোজেটা স্টোন। জিইএমের প্রধান আকর্ষণ হলো তরুণ রাজা তুতানখামেনের অক্ষত সমাধির সম্পূর্ণ উপাদান, যা প্রথমবারের মতো একসাথে প্রদর্শিত হচ্ছে। এতে রয়েছে তুতানখামেনের সোনার মুখোশ, সিংহাসন ও রথসহ হাজারো ঐতিহাসিক নিদর্শন। জিইএমের সাবেক প্রধান ও আন্তর্জাতিক মিশরবিদ সমিতির সভাপতি ড. তারেক তৌফিক বলেন, আমি ভেবেছিলাম কীভাবে তাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা যায়। ১৯২২ সালে সমাধি আবিষ্কারের পর প্রায় ৫৫০০ নিদর্শনের মধ্যে মাত্র ১৮০০টি প্রদর্শিত হয়েছে। এবার আমরা সম্পূর্ণ সমাধিটি প্রদর্শন করছি। কিছুই গুদামে বা অন্য কোনো জাদুঘরে থাকবে না। দর্শকরা হাওয়ার্ড কার্টারের মতোই পুরো অভিজ্ঞতা পাবেন।

প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল জাদুঘর বছরে ৮ মিলিয়ন দর্শক আকর্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মিশরের পর্যটন খাতে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে আনবে। গিজার পিরামিড এলাকার পর্যটক গাইড ও আগ্রহী মিশরবিদ আহমেদ সেদ্দিক বলেন, আমরা আশা করি গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম মিশরবিদ্যা ও সাংস্কৃতিক পর্যটনের এক নতুন সোনালী যুগ সূচনা করবে। এর পাশাপাশি, ৪৫০০ বছর পুরোনো খুফুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নৌকা ও অন্যান্য রাজবংশীয় নিদর্শনও এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি আংশিকভাবে খোলা অবস্থাতেও এখানে বহু ট্যুর আয়োজন করেছি। এখন এটি হবে তার গৌরবের শীর্ষে। তুতানখামেন সংগ্রহ খুলে গেলে পুরো বিশ্ব এখানে ছুটে আসবে, কারণ তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ফারাও।

স্পেনের পর্যটক রাউল বলেন, এটা অবশ্যই দেখা উচিত। আমরা ৪ঠা নভেম্বরে পূর্ণ উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি। লন্ডনের পর্যটক স্যাম বলেন, আমরা শুধু সব মিশরীয় নিদর্শন দেখার অপেক্ষায়। জীবনে একবারই এমন সুযোগ আসে। একজন বৃটিশ পর্যটক যোগ করেন, তাহরির স্কোয়ারের পুরোনো জাদুঘরটা খুবই বিশৃঙ্খল ছিল। নতুন মিউজিয়ামটা নিশ্চয়ই অনেক সুন্দরভাবে সাজানো। এখানে এসে ইতিহাসকে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করা যাবে।

৫ লাখ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত জিইএমের বাইরের অংশে খোদাই করা রয়েছে হায়ারোগ্লিফ ও অ্যালাবাস্টার, যার প্রধান প্রবেশদ্বারটি পিরামিড আকৃতির। এখানে অন্যতম আকর্ষণ হলো ৩২০০ বছর পুরোনো ১৬ মিটার লম্বা রামসেস দ্বিতীয়ের ওবেলিস্ক এবং তার ১১ মিটার উচ্চতার বিশাল মূর্তি। ২০০৬ সালে কায়রোর রেলস্টেশন এলাকা থেকে জটিল প্রক্রিয়ায় মূর্তিটি স্থানান্তর করা হয়। 

মিউজিয়ামটি প্রথম প্রস্তাবিত হয় ১৯৯২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের শাসনামলে। ২০০৫ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। আরব বসন্ত, অর্থনৈতিক সংকট, কোভিড-১৯ মহামারি ও আঞ্চলিক সংঘাতের কারণে প্রকল্পটি প্রায় পিরামিড নির্মাণের সমান সময় নিয়েছে সম্পূর্ণ হতে। প্রবীণ প্রত্নতাত্ত্বিক ও মিশরের সাবেক পর্যটন ও প্রত্নসম্পদমন্ত্রী ড. জাহি হাওয়াস বলেন, এটি ছিল আমার স্বপ্ন। অবশেষে মিউজিয়ামটি খুলে গেছে দেখে আমি গর্বিত। এটি প্রমাণ করে মিশরীয়রাও এখন প্রত্নতত্ত্ব, সংরক্ষণ ও জাদুঘর পরিচালনায় বিদেশিদের সমান দক্ষ। তিনি আরও বলেন, এখন আমি চাই দুইটি জিনিস। প্রথমত, জাদুঘরগুলো যেন চুরি করা নিদর্শন কেনা বন্ধ করে। দ্বিতীয়ত, তিনটি জিনিস মিশরে ফিরিয়ে আনা হোক- রোজেটা স্টোন (বৃটিশ মিউজিয়াম থেকে), দ্য জোডিয়াক (ল্যুভর, ফ্রান্স) এবং নেফারতিতির বক্ষমূর্তি (বার্লিন থেকে)। ড. হাওয়াস ইতিমধ্যে এই তিনটি প্রত্নবস্তু ফেরতের দাবিতে অনলাইন পিটিশন চালু করেছেন। এতে এরই মধ্যে শতসহস্র মানুষ স্বাক্ষর করেছে। 

রোজেটা স্টোন (১৭৯৯ সালে আবিষ্কৃত) হায়ারোগ্লিফিক লিপি পাঠোদ্ধারে মূল চাবিকাঠি ছিল। এটি ফরাসি বাহিনী আবিষ্কার করে এবং পরে বৃটিশরা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হিসেবে নিয়ে যায়। ১৮২১ সালে ফরাসিরা দেন্দেরার হাথোর মন্দির থেকে দ্য জোডিয়াক সরিয়ে নেয় এবং শতাব্দীরও বেশি আগে জার্মানরা গোপনে নিয়ে যায় নেফারতিতির মূর্তি। ড. হাওয়াস বলেন, আমরা চাই এই তিন দেশ সৌজন্যবশত এগুলো ফিরিয়ে দিক উপহার হিসেবে, যেমন মিশর পৃথিবীকে অনেক উপহার দিয়েছে। অন্য শীর্ষ মিশরবিদ ড. মনিকা হান্না’ও এই তিনটি বস্তু ফেরতের পক্ষে। তিনি বলেন, জিইএম আসলে বিশ্বের কাছে এই বার্তা দেয় যে মিশর এখন প্রস্তুত। আমরা আমাদের ঐতিহ্য ফেরত চাই সঠিক কূটনৈতিক পথে। বৃটিশ মিউজিয়াম বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা মিশর সরকারের কাছ থেকে রোজেটা স্টোন ফেরত চাওয়া বা ধার নেয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পায়নি।

আপনার মতামত লিখুন

মিরর বাংলা

বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫


মিশরের গ্র্যান্ড মিউজিয়ামে ৭০০০ বছরের ইতিহাস

প্রকাশের তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি মিশর আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দিয়েছে। এটি হলো আধুনিক যুগের এক সাংস্কৃতিক মহাকেন্দ্র-  গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম (জিইএম)। গিজায় অবস্থিত খুফুর মহাপিরামিডের কাছেই এর অবস্থান। বিশ্বের বৃহত্তম প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর হিসেবে বর্ণিত এই মিউজিয়ামে আছে প্রায় ১ লাখ নিদর্শন। এসব নির্দশন প্রাক-রাজবংশীয় যুগ থেকে শুরু করে গ্রিক ও রোমান আমল পর্যন্ত ৭০০০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

বিখ্যাত মিশরবিদরা মনে করছেন, এই জাদুঘরের উদ্বোধন তাদের সেই দাবিকে আরও জোরালো করবে যে, মিশরের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নবস্তুগুলো, যেগুলো বিদেশে সংরক্ষিত, সেগুলো ফেরত দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে লন্ডনের বৃটিশ মিউজিয়ামে থাকা বিখ্যাত রোজেটা স্টোন। জিইএমের প্রধান আকর্ষণ হলো তরুণ রাজা তুতানখামেনের অক্ষত সমাধির সম্পূর্ণ উপাদান, যা প্রথমবারের মতো একসাথে প্রদর্শিত হচ্ছে। এতে রয়েছে তুতানখামেনের সোনার মুখোশ, সিংহাসন ও রথসহ হাজারো ঐতিহাসিক নিদর্শন। জিইএমের সাবেক প্রধান ও আন্তর্জাতিক মিশরবিদ সমিতির সভাপতি ড. তারেক তৌফিক বলেন, আমি ভেবেছিলাম কীভাবে তাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা যায়। ১৯২২ সালে সমাধি আবিষ্কারের পর প্রায় ৫৫০০ নিদর্শনের মধ্যে মাত্র ১৮০০টি প্রদর্শিত হয়েছে। এবার আমরা সম্পূর্ণ সমাধিটি প্রদর্শন করছি। কিছুই গুদামে বা অন্য কোনো জাদুঘরে থাকবে না। দর্শকরা হাওয়ার্ড কার্টারের মতোই পুরো অভিজ্ঞতা পাবেন।

প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল জাদুঘর বছরে ৮ মিলিয়ন দর্শক আকর্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মিশরের পর্যটন খাতে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে আনবে। গিজার পিরামিড এলাকার পর্যটক গাইড ও আগ্রহী মিশরবিদ আহমেদ সেদ্দিক বলেন, আমরা আশা করি গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম মিশরবিদ্যা ও সাংস্কৃতিক পর্যটনের এক নতুন সোনালী যুগ সূচনা করবে। এর পাশাপাশি, ৪৫০০ বছর পুরোনো খুফুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নৌকা ও অন্যান্য রাজবংশীয় নিদর্শনও এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি আংশিকভাবে খোলা অবস্থাতেও এখানে বহু ট্যুর আয়োজন করেছি। এখন এটি হবে তার গৌরবের শীর্ষে। তুতানখামেন সংগ্রহ খুলে গেলে পুরো বিশ্ব এখানে ছুটে আসবে, কারণ তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ফারাও।

স্পেনের পর্যটক রাউল বলেন, এটা অবশ্যই দেখা উচিত। আমরা ৪ঠা নভেম্বরে পূর্ণ উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি। লন্ডনের পর্যটক স্যাম বলেন, আমরা শুধু সব মিশরীয় নিদর্শন দেখার অপেক্ষায়। জীবনে একবারই এমন সুযোগ আসে। একজন বৃটিশ পর্যটক যোগ করেন, তাহরির স্কোয়ারের পুরোনো জাদুঘরটা খুবই বিশৃঙ্খল ছিল। নতুন মিউজিয়ামটা নিশ্চয়ই অনেক সুন্দরভাবে সাজানো। এখানে এসে ইতিহাসকে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করা যাবে।

৫ লাখ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত জিইএমের বাইরের অংশে খোদাই করা রয়েছে হায়ারোগ্লিফ ও অ্যালাবাস্টার, যার প্রধান প্রবেশদ্বারটি পিরামিড আকৃতির। এখানে অন্যতম আকর্ষণ হলো ৩২০০ বছর পুরোনো ১৬ মিটার লম্বা রামসেস দ্বিতীয়ের ওবেলিস্ক এবং তার ১১ মিটার উচ্চতার বিশাল মূর্তি। ২০০৬ সালে কায়রোর রেলস্টেশন এলাকা থেকে জটিল প্রক্রিয়ায় মূর্তিটি স্থানান্তর করা হয়। 

মিউজিয়ামটি প্রথম প্রস্তাবিত হয় ১৯৯২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের শাসনামলে। ২০০৫ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। আরব বসন্ত, অর্থনৈতিক সংকট, কোভিড-১৯ মহামারি ও আঞ্চলিক সংঘাতের কারণে প্রকল্পটি প্রায় পিরামিড নির্মাণের সমান সময় নিয়েছে সম্পূর্ণ হতে। প্রবীণ প্রত্নতাত্ত্বিক ও মিশরের সাবেক পর্যটন ও প্রত্নসম্পদমন্ত্রী ড. জাহি হাওয়াস বলেন, এটি ছিল আমার স্বপ্ন। অবশেষে মিউজিয়ামটি খুলে গেছে দেখে আমি গর্বিত। এটি প্রমাণ করে মিশরীয়রাও এখন প্রত্নতত্ত্ব, সংরক্ষণ ও জাদুঘর পরিচালনায় বিদেশিদের সমান দক্ষ। তিনি আরও বলেন, এখন আমি চাই দুইটি জিনিস। প্রথমত, জাদুঘরগুলো যেন চুরি করা নিদর্শন কেনা বন্ধ করে। দ্বিতীয়ত, তিনটি জিনিস মিশরে ফিরিয়ে আনা হোক- রোজেটা স্টোন (বৃটিশ মিউজিয়াম থেকে), দ্য জোডিয়াক (ল্যুভর, ফ্রান্স) এবং নেফারতিতির বক্ষমূর্তি (বার্লিন থেকে)। ড. হাওয়াস ইতিমধ্যে এই তিনটি প্রত্নবস্তু ফেরতের দাবিতে অনলাইন পিটিশন চালু করেছেন। এতে এরই মধ্যে শতসহস্র মানুষ স্বাক্ষর করেছে। 

রোজেটা স্টোন (১৭৯৯ সালে আবিষ্কৃত) হায়ারোগ্লিফিক লিপি পাঠোদ্ধারে মূল চাবিকাঠি ছিল। এটি ফরাসি বাহিনী আবিষ্কার করে এবং পরে বৃটিশরা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হিসেবে নিয়ে যায়। ১৮২১ সালে ফরাসিরা দেন্দেরার হাথোর মন্দির থেকে দ্য জোডিয়াক সরিয়ে নেয় এবং শতাব্দীরও বেশি আগে জার্মানরা গোপনে নিয়ে যায় নেফারতিতির মূর্তি। ড. হাওয়াস বলেন, আমরা চাই এই তিন দেশ সৌজন্যবশত এগুলো ফিরিয়ে দিক উপহার হিসেবে, যেমন মিশর পৃথিবীকে অনেক উপহার দিয়েছে। অন্য শীর্ষ মিশরবিদ ড. মনিকা হান্না’ও এই তিনটি বস্তু ফেরতের পক্ষে। তিনি বলেন, জিইএম আসলে বিশ্বের কাছে এই বার্তা দেয় যে মিশর এখন প্রস্তুত। আমরা আমাদের ঐতিহ্য ফেরত চাই সঠিক কূটনৈতিক পথে। বৃটিশ মিউজিয়াম বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা মিশর সরকারের কাছ থেকে রোজেটা স্টোন ফেরত চাওয়া বা ধার নেয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পায়নি।


মিরর বাংলা

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মাসুদুল আলম তুষার
কপিরাইট © ২০২৫ মিরর বাংলা । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত