কেন সরে গেলেন সমন্বয়ক উমামা

0
19

ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব উমামা ফাতেমা রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমি উমামা ফাতেমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলাম।’

পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাথে আমার দীর্ঘদিনের পথচলা। এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের অনেকের চিন্তা-চেতনার জগতকে যেমন পালটে দিয়েছে, তেমনই কাজের পরিসরও ব্যাপক মাত্রায় বিস্তৃত করেছে! লড়াইয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে!’

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, সময়ের প্রয়োজনে এবং সামগ্রিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি লেখেন,
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন করি। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাথে আমার যাত্রা এখানেই সমাপ্ত হলো।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে উমামা আরও লিখেছেন, ‘আশা করি, ছাত্র ফেডারেশন দেশের আপামর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সূচিত হওয়া নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে তার সাংগঠনিক কাঠামোতে আরো গভীরভাবে ধারণ করে সামনের দিকে আগুয়ান হবে!’

এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর ‘কিছু করার না থাকলে উপদেষ্টা হয়েছেন কেন’-এমন প্রশ্ন তুলে আলোচনায় আসেন সমন্বয়ক ফাতেমা। ৪৮ ঘণ্টা পেরুনোর আগেই তার পদত্যাগ অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘দুঃসময়ের কণ্ঠস্বর: স্বপ্ন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি বিভিন্ন প্রশ্ন রাখেন।
উমামা ফাতেমা সেখানে বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও ঠিক হয়নি। এসব নিয়ে কিছু করার না থাকলে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন কেন?
জনগণের হাত থেকে ক্ষমতা কিছু গোষ্ঠীর হাতে পুঞ্জিভূত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সমন্বয়ক ফাতেমা বলেন, ‘যারা গণ-অভ্যুত্থানে শক্ত ভূমিকা রেখেছেন, প্রান্তিক পর্যাযায়ে তাদেরই দাবড়ানো হচ্ছে। এভাবেই জনগণের হাত থেকে ক্ষমতা কিছু গোষ্ঠীর হাতে পুঞ্জিভূত হচ্ছে।’

বর্তমান সময়ে দেশে যেসব ঘটনা ঘটছে, তা গণ-অভ্যুথানের আকাঙ্ক্ষার বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ফাতেমা বলেন, ‘আমরা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। এ আলাপগুলো টেলিভিশনে আসা উচিৎ।’

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অনেক কিছুই র‍্যাডিক্যাল পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে না। এটাই ভয়ের জায়গা। আমরা বলেছিলাম ফ্যাসিবাদি রাষ্ট্রব্যবস্থার বিলোপ। এখন বলা হচ্ছে সংস্কার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে আমরা কীভাবে সাউথ এশিয়ায় টিকে থাকবো, এটা নিয়ে কোনো ডিসকাশন নেই। অনেক কিছু এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here