তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় মিডিয়া এনডিটিভি বুধবার সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
নিউজ১৮ মিডিয়াও বিজেপি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে একই তথ্য জানিয়েছে। বলা হচ্ছে, একই দিন নতুন মন্ত্রিসভার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও শপথ নেবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পর মোদীই দেশটির দ্বিতীয় নেতা, যিনি তিন দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।
২০১৪ ও ২০১৯ সালের মতো এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কিন্তু দলটির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স) জোট পেয়েছে ২৯৩ টি আসন। সরকার গঠনে দরকার ২৭২ আসন।
বিজেপির পর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। আর দলটির নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২টি আসন।
এনডিএ ছেড়ে কোনও দল ইন্ডিয়া জোটে না গেলে শনিবারই ভারতের নতুন সরকার চূড়ান্ত হবে।
এনডিটিভি বলছে, সরকার গঠন চূড়ান্ত করতে বুধবার সকাল থেকেই রাজধানী দিল্লিতে ভিড় করতে শুরু করেছে এনডিএ ও ইন্ডিয়া জোটের আঞ্চলিক শরিকরা। যাদের নিয়ে কৌতূহল, সেই চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতিশ কুমারের দল মোদীর পক্ষে সমর্থন নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুসারে, ভোটগণনার পর নির্বাচিত প্রত্যেক এমপির হাতে নির্বাচন কমিশন ‘ফর্ম ২২’ নামে একটি সার্টিফিকেট তুলে দেবে। সেখানে তাদের সাক্ষরের পর, ওই সার্টিফিকেট যাবে লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে।
এরপর ওই এমপিদের তালিকা প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকা অনুসারে প্রেসিডেন্ট তখন সরকার গঠনের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এমপি থাকা পার্টি বা জোটকে সরকার গঠনে আহ্বান জানাবে।
২০১৯ সালে ভোট গণনার দুই দিনের মাথায় এই তালিকাটি প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার আগে বুধবার ভারতের প্রেসিডেন্ট দৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মোদী। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ১৭তম সরকারের মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বুধবার মোদী রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করে পরবর্তী সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত মোদীকে সরকার চালিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন।