সারা বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড কর্মকর্তারা বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। আগামী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা এই ক্ষমতার অধিকারী থাকবে।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীকে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন হয়।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব জেতি প্রু স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১২ (১) ও ১৭ ধারা অনুসারে সারাদেশে ৬০ দিনের জন্য এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর থাকবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী সকাল সন্ধ্যাকে জানান, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে তারাও জেনেছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন তীব্র হলে গত মাসে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ১৯ জুলাই সারাদেশে সান্ধ্য আইন জারির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য মাঠে নামে ২৭ হাজার সেনা সদস্য।
এরপর নানা ঘটনা পরিক্রমার মধ্য দিয়ে গেছে দেশ। তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে।
তবে তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছিল অরাজক পরিস্থিতি। থানাগুলোয় হামলা, লুটপাট ও হত্যার ঘটনা ঘটলে নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মস্থল ছেড়ে যান পুলিশ সদস্যরা। সেই অবস্থায় ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে থানার নিরাপত্তার দায়িত্বও নেয় সেনা সদস্যরা।
তখন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান বলেছিলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সংগঠিত হয়ে স্বাভাবিক কাজ শুরু করলে সেনা সদস্যরা ব্যারাকে ফেরত যাবে।