ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, সিলেট, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। মৌলভীবাজারে এর উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থাও উন্নতির দিকে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষরা তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আরও আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ১১ জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে দাঁড়াল।
নতুন করে নিহতদের মধ্যে ফেনী ও কুমিল্লায় তিনজন করে এবং নোয়াখালীতে দুজন রয়েছেন।
এ পর্যন্ত ফেনীতে ২৬ জন, কুমিল্লায় ১৭ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, নোয়াখালীতে ১১ জন, কক্সবাজারে তিনজন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৪২ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ১৮ শিশু রয়েছে।
এছাড়া ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারসহ ১১ জেলার ৬৮টি উপজেলায় ছয় লাখ ৫ হাজার ৭৬৭টি পরিবার এখনও আটকা পড়ে আছে।
বন্যায় ১১টি জেলার ৫০৪টি পৌরসভা বা ইউনিয়নে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ লাখ ৮ হাজার ২০২ জন। বন্যাকবলিত এলাকায় মোট ৪৭২টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, সিলেট, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। মৌলভীবাজারে এর উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থাও উন্নতির দিকে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষরা তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।