সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের খুনিদের চিহ্নিত করার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলার পরপরই সাংবাদিকদের ডেকে এই হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত তুলে ধরল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
জানানো হলো, বাংলাদেশে বসেই আনারকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে নিরাপদ ভেবে হত্যাকাণ্ডস্থল হিসাবে বেছে নেওয়া হয় পাশের দেশ ভারত।
কলকাতায় আনারকে হত্যায় পাঁচ-ছয়জন জড়িত ছিল বলে ডিবি জানিয়েছে। হত্যার পর আনারের দেহের মাংস ও হাড় আলাদা করার মতো নৃশংসতার বর্ণনাও দিয়েছেন ডিএমপি-ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
আনারের খুনি হিসাবে বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ডিবি। তারা হলেন- আমানুল্লাহ (শিমুল ভূঁইয়া), শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি। তবে মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন এখনও পলাতক।
ঝিনাইদহে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার (৫৬) চিকিৎসার কথা বলে গত ১২ মে গিয়েছিলেন কলকাতায়। তিনি উঠেছিলেন বরাহনগরের সিঁথি এলাকায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস নামে এক সোনা ব্যবসায়ীর বাড়িতে।
গোপালের ভাষ্য অনুযায়ী, পরদিন দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে আনার বেরিয়েছিলেন ভাড়া করা একটি গাড়িতে। তারপর তার সঙ্গে আর দেখা হয়নি।
ঢাকা থেকে আনারের মেয়ে ১৭ মে বাবার খোঁজ না পাওয়ার কথা গোপালকে জানালে পরদিন তিনি বরাহনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তার সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত ভবন সঞ্জিবা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পায়। বুধবার সেখানে তল্লাশি চালিয়ে জানায়, আনারকে এই ফ্ল্যাটেই হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও জানান, আনার কলকাতায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
গোপালের জিডির সূত্র ধরে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির তদন্তের মধ্যে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এরমধ্যে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশও তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, কারা আনারকে হত্যা করেছে, তাদের চিহ্নিত করার ‘প্রায় কাছাকাছি’ এসে গেছেন তারা। এখন শুধু ঘোষণার বাকি।
এরপর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন অতিরিক্ত কমিশনার হারুন।
সোনা চোরাচালান চক্রে দ্বন্দ্ব থেকে আনার খুন হন বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কথা থেকে। সংসদ সদস্য আনারের বিরুদ্ধে চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ আগে থেকে ছিল।
আনারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে নাম আসছিল আক্তারুজ্জামান শাহীনের। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আনারের বন্ধু ছিলেন কোটচাঁদপুরের শাহীন।
শাহীন এখন যুক্তরাষ্ট্রে আবাস গড়লেও দেশে তার আসা-যাওয়া রয়েছে। সম্প্রতি তিনি দেশে ফেরেন। তারপর ভারত ঘুরে দেশে ফিরে সপ্তাহখানেক আগে আবার চলে যান বলে খবর পাওয়া গেছে।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন গ্রেপ্তার তিনজনের দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে বলেন, আনারকে হত্যার পরিকল্পনা হয় দুই থেকে তিন মাস আগে।
“মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামানের বাসা একটি গুলশানে, একটি বসুন্ধরা এলাকায়। এই দুই বাসাতেই অনেকদিন ধরে পরিকল্পনা হয়েছে।”
হারুন বলেন, প্রথমে তারা পরিকল্পনা করেছিল ঢাকায় হত্যা করার। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারি ও ঢাকায় যে কোনও হত্যাকাণ্ডের পর ‘ক্লু’ পুলিশ বের করেছে বলে তারা কলকাতাকে বেছে নেয়।
“মূলত অপরাধীরা বিদেশের মাটিতে অপরাধ করলে বাংলাদেশ পুলিশের নজরে আসবে না, এমনটা ভেবেই কলকাতা বেছে নেওয়া। বাংলাদেশের মাটিতে তারা অপরাধ করার সাহস পায়নি।”
সেই পরিকল্পনা করে কলকাতার নিউ টাউনে আক্তারুজ্জামান একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন বলে জানান হারুন। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদীও বুধবার জানিয়েছিলেন, সঞ্জিবা গার্ডেন্সের ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন আক্তারুজ্জামান নামে একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
গত ২৫ এপ্রিল ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়া হয় জানিয়ে হারুন বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিনজন গত ৩০ এপ্রিল ওই ফ্ল্যাটে ওঠে।
তারা হলেন- আক্তারুজ্জামান, তার বন্ধু শিলাস্তি রহমান ও আমানুল্লাহ। বলা হচ্ছে, আনারকে খুন করার জন্য আমানুল্লাহকে ভাড়া করেন আক্তারুজ্জামান।
আনারকে কখন কলকাতায় পাওয়া যাবে, তারা সেদিকে খেয়াল রাখছিলেন বলে জানান ডিবি কর্মকর্তা হারুন।
তিনি বলেন, কলকাতায় আরও দুজনকে ‘হায়ার’ করা হয়। তারা ওই বাসায় আসা-যাওয়া করবে। তারা হলেন, জিহাদ বা জাহিদ ও সিয়াম।
“মাস্টারমাইন্ড গাড়ি ঠিক করে দেন। কাকে কত টাকা দিতে হবে, কারা হত্যায় থাকবে, কার দায়িত্ব কী হবে, সবই ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল আগে। এরপর কিছু কাজ আছে বলে আক্তারুজ্জামান শাহিন ৫/৬ জন রেখে ১০ মে বাংলাদেশে চলে আসেন।”
নানা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবর এসেছে, দ্বন্দ্ব মেটানোর কথা বলে আনারকে কলকাতায় ডেকে নিয়েছিলেন শাহিন।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, সঞ্জিবা গার্ডেন্সের ওই ফ্ল্যাটে ১৩ মে রাজা নামে একজন ক্যাবচালকের গাড়িতে গিয়েছিলেন আনার। ফ্ল্যাটে তাকে রিসিভ করেছিলেন ফয়সাল নামে একজন। তাদের সঙ্গে মোস্তাফিজ নামে একজনও ওই বাসায় ঢোকেন। বাসার ভেতরেই ছিলেন জাহিদ ও সিয়াম।
আনার সেদিন সেই ফ্ল্যাটে ঢোকার আধা ঘণ্টার মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে ডিবি জানতে পেরেছে।
হারুন বলেন, তাদের পরিকল্পনা ছিল বিদেশের মাটিতে হত্যার কাজটি করবে। হত্যার পর তার লাশ এমনভাবে গুম করে দেওয়া হবে, যাতে কেউ কোনওদিন খুঁজে না পায়।
“হত্যার পর তার শরীর বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। হাড়-হাড্ডি থেকে শরীরের মাংস আলাদা করা হয়েছে। এরপর গ্রে কালারের লাগেজে (খণ্ডিত কিছু অংশ) ভরে মূল হত্যাকারী, যিনি (আমানুল্লাহ) আমাদের কাছে আছেন, তিনি ও জাহিদ ব্রিফকেস নিয়ে বের হয়। সিয়াম পাবলিক টয়লেটের কাছে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল। ভারতীয় চালকসহ তারা গাড়ি নিয়ে চলে যায়।”
এরপর লাশের আরও কিছু অংশ নিয়ে ২/৩ জন কয়েকটি ব্যাগে ভরে বাইরে নিয়ে যায় বলে জানান হারুন।
খুনের পর বিভ্রান্ত করতে আনারের মোবাইল থেকেই তার পরিচিতজনদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে নানা মেসেজ পাঠানো হয়েছিল বলে ডিবি জানায়।
“আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে”- এমন মেসেজ পাওয়ার কথা গোপাল যেমন বলেছিলেন, আনারের মেয়ে তরিনও তার মামলায়ও উল্লেখ করেছেন।
ভারতের গোয়েন্দারা আনারের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে কখনও বেনাপোলে, কখনও বিহারে পেয়েছিলেন।
তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই খুনিরা মোবাইল ফোনটি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান হারুন।
“ভিকটিমের মোবাইল নম্বর থেকে মেসেজ আদান-প্রদান করা হয়, যাতে করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে করে তদন্তে বেগ পায়।”
প্রধান খুনি হিসাবে যে আমানুল্লাহর নাম বলা হচ্ছে, তিনি ১৫ মে ঢাকায় ফিরে আসেন বলে জানান ডিবি কর্মকর্তা হারুন।
তিনি বলেন, “১৫ মে মূল হত্যাকারী, (আক্তারুজ্জামানের) গার্লফ্রেন্ডসহ (শিলাস্তি) ঢাকায় ফিরে আসে। যখন সবাই ফিরে আসে, তখন মূল পরিকল্পনাকারী শাহিন ভিস্তারা এয়ারলাইন্সে দিল্লি হয়ে দুই ঘণ্টার ট্রানজিট নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডু চলে যান। সেখান থেকে হয়ত সে অন্য কোথায় চলে যেতে পারে।”
আমানুল্লাহর আসল নাম শিমুল ভূইয়া জানিয়ে হারুন বলেন, “তিনি মিথ্যে নামে পাসপোর্টটি করেছেন। তার আসল নাম শিমুল ভূইয়া। যিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির বড় নেতা ছিলেন। তার নামে অনেকগুলো হত্যা মামলা রয়েছে।”
কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে আনারের লাশ পাওয়া যায়নি বলে ভারতের পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
লাশ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না-এমন প্রশ্নে হারুন বলেন, “লাশ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, বলা সম্ভব না।
“শিমুলের বর্ণনা মতে আসলে আনারের মরদেহ তো খণ্ড খণ্ড করা হয়েছে। হাড়-হাড্ডি মাংস আলাদা করে হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ফেলা হয়েছে। তারা এমন নৃশংস কায়দায় হত্যার কাজটি সংঘটিত করেছে, যাতে করে ধরা না পড়ে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই ছিল যে, কেউ যেন কোনও দিন আনারের অস্তিত্ব খুঁজে না পায়।”
তাহলে আনারের মৃত্যুর বিষয়টি কতটা নিশ্চিত- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “কলকাতা পুলিশ তো নিশ্চিত হয়েছে হত্যা হয়েছে।”
আগের দিন কলকাতায় একই প্রশ্নের মুখে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির আইজি অখিলেশও পড়েছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, লাশ না পেলেও খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন আশাবাদী, পুরোপুরি না পেলেও আনারের খণ্ডিত মরদেহ হলেও উদ্ধার সম্ভব হবে।
আনারের মেয়ে মামলা করার আগে থেকে বাংলাদেশ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে জানিয়ে হারুন বলেন, “আমরা ১৮ মে’র পর তদন্ত শুরু করেছি। যখন গোপাল কলকাতায় সাধারণ ডায়েরি করেন। আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আমাদের কাছে আটক তিনজন স্বীকার করেছেন। আরও কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”
কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে- সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সব অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা। কী কারণে হত্যা, সেটা পরে দেখব।
“ইন্ডিয়াতে যারা যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের সঙ্গে টাকা-পয়সার লেনদেন করেছে মূল মাস্টারমাইন্ড। আমাদের কাছে তিনজন আছে। কলকাতা পুলিশের কাছে আছে একজন।”
‘তদন্তের স্বার্থে’ অনেক কিছু এখন বলতে চাইছেন না বলে জানান ডিবি কর্মকর্তা হারুন।
“সব কিছু মিলিয়ে আমরা তদন্ত করছি। কেন হত্যাকাণ্ড সেটি তো বের হবেই, তবে কারা কারা জড়িত, আরও কেউ জড়িত কি না, রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
তদন্তে ভারতের পুলিশের সঙ্গে একযোগে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন বলেন, “সবকিছু মিলিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আমাদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ, কলকাতা সিআইডি এসটিএফের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে।
“আজকে ইন্ডিয়ান একটি তদন্ত সংশ্লিষ্ট টিম আমাদের এখানে আসবেন। আমাদের হাতে আটক যে আসামি রয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন, জিজ্ঞাসা করবেন। আমরাও প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাব।”
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আনারের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দুই দেশের গোয়েন্দারা একমত হতে পারলে সেই ঘোষণা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “আমরা এখানে তদন্ত করছি। তদন্তের প্রয়োজনে ভারতের একটি টিম এখানে আসবে। প্রয়োজনে আমাদের একটি টিমও সেখানে যাবে।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডে ভারতের কেউ জড়িত আছে কি না, এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে দুই দেশের গোয়েন্দারা সেটা খুঁজে বের করবেন।”
একজন সংসদ সদস্য খুনের এই ঘটনা সরকার খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হয়, এমন কোনও তথ্য না দিয়ে যতটুকু বলা যায়, সেটাই বলছি। আর মৃতদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।”