গত সপ্তাহে লামিন ইয়ামালের বাবা নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে মেসি ও ইয়ামালের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছিলেন, ‘দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুরু’। প্লাস্টিকের একটি বড় গামলার মধ্যে ছয় মাস বয়সী একটি শিশু। লিওনেল মেসি সেই গামলার পাশে আয়েশ করে বসে শিশুটিকে গোসল করাচ্ছেন। এমন আরও কিছু ছবি আছে। গোসল করানোর পর মেসির কোলে শিশুটির ছবিও প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই শিশু লামিন ইয়ামাল। কিন্তু কীভাবে দুটি চরিত্র ছবিতে একসূত্রে গাঁথা পড়ল, তা এ পৃথিবীর অলৌকিক সব গল্পের মতোই বিস্ময়। মনফোর্ত সেই অলৌকিক সত্যকেই দেখেছেন সবচেয়ে কাছ থেকে। সেটা ২০০৭ সালে বার্সেলোনার মাঠ ক্যাম্প ন্যুর ভিজিটর্স লকাররুমে একটি ফটোশুটের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দারিও স্পোর্ত’ এবং ইউনিসেফের পরিচালনায় বার্ষিক চ্যারিটির অংশ হিসেবে ক্যালেন্ডারের জন্য বার্সার খেলোয়াড়েরা বেশ কয়েকটি পরিবারের শিশুদের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন। এর মধ্যে মেসি দাঁড়িয়েছিলেন ইয়ামাল এবং তার মায়ের পাশে। কেউ বলে দেয়নি কিংবা কোনো নির্দেশনাও ছিল না। প্রকৃতিই দুজনকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল।
মনফোর্ত এরপর বলেছেন গল্পের সবচেয়ে আশ্চর্যকর অংশটুকু, ফটোশুটের শিশু বেছে নিতে ‘ইউনিসেফ লটারির আয়োজন করেছিল রোকা ফোন্দা অঞ্চলে, যেখানে লামিনের পরিবার বাস করতো। ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিজের বাচ্চার ছবি তুলতে তারাও লটারিতে অংশ নেয় এবং জিতেছিল।’ পরে ইয়ামাল বেড়ে উঠেছেন বার্সার একাডেমিতে। প্রতিভার দ্যুতি ছড়ানোয় খুব অল্প বয়সেই বার্সার মূল দলে তাকে তুলে আনেন সাবেক কোচ জাভি হার্নান্দেজ। এরপরের ইতিহাসতো সবার জানা। বার্সেলোনা ও স্পেন দলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়, ইউরোয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় এখন ইয়ামাল। ১৭ বছর আগে ইয়ামালকে মেসি যখন গোসল করাচ্ছিলেন, তখন তার বয়স ২০ বছর। তত দিনে সর্বকনিষ্ঠের বেশ কিছু রেকর্ড তার হয়েছে, লোকেও বলাবলি করছে নির্ঘাত কিংবদন্তি হওয়ার পথে।