লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না জিম্বাবুয়ের জন্য। মাত্র ১৪৪ রান করলেই জয়। বাংলাদেশকে কম রানে বেঁধে জয়ের স্বপ্নে ছিল জিম্বাবুয়ে। তার আগে দুই বাঁধা তো টপকাতে হবে তাদের! সে দুই বাঁধাতেই আটকালো জিম্বাবুয়ে। সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং জুটিতে ৫ রানে জিতল বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান করে স্বাগতিকরা। এমন উড়ন্ত সূচনার পরও বাংলাদেশকে অলআউট হতে হয় মাত্র ১৪৩ রানে। জবাবে মিরপুরের পিচে জিম্বাবুয়েও স্বচ্ছন্দে রান তাড়া করতে পারেনি। সাকিবের ৪ উইকেট ও মোস্তাফিজের ৩ উইকেটে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
আইপিএলের ফর্মটাই যেন বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন ফিজ। ১৫তম ওভারে জয়ের লড়াইয়ে থাকা জিম্বাবুয়েকে ছিটকে দেন তিনি। ওই ওভারে তার জোড়া উইকেটে পথহারা হয় সফরকারীরা। এক ওভারে দলটির দুই হার্ড হিটার রায়ান বার্ল (১৯) ও লুক জঙ্গেকে (১) ফেরান ফিজ। ১৯তম ওভারে আরও এক উইকেট নেন।
সাকিব অবশ্য একসঙ্গে উইকেট পাননি। শুরুতে থামিয়েছেন ওপেনার মারুমানিকে। এরপর ২৭ বলে ৩১ রান করা জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ স্কোরার জোনাথন ক্যাম্পবেলকে ফেরান। লেজের দুই উইকেট তুলে মোট চারটি শিকার নেন সাকিব। এই চার উইকেটে এই ফরম্যাটে ১৫০ উইকেট থেকে আর ১০ উইকেট দূরে আছেন এই অলরাউন্ডার।
এর আগে শুরুতে ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে জয়ের সুরটা বেঁধে দেন তাসকিন আহমেদ। সম্প্রতি বাংলাদেশের মূল শক্তিটা বোলিংয়ে। শুক্রবারের ম্যাচে সেই বোলিং শক্তিতেই কম রান করেও জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।