সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ এবং ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের ঐতিহাসিক পুনর্মিলনের প্রশংসা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ড নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ অবসানের সমঝোতা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে।
শান্তি আলোচনা শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান জানান, উভয় পক্ষই নিজেদের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শান্তি এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি নতুন সূচনার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।
তুরস্কের লক্ষ্য হলো আফ্রিকার এই অঞ্চলটিতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা। এরদোয়ান আরও বলেন, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার যৌথ বিবৃতি পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করবে।
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ তুরস্কের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, তার দেশ সবসময় ইথিওপিয়ার ‘সত্যিকারের বন্ধু’ ছিল এবং থাকবে।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনাকে ‘পারিবারিক সংলাপ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এর ফলে উভয় দেশের জন্য ইতিবাচক ফলাফল এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন।
এই সমঝোতা ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার মধ্যে নতুন সহযোগিতার পথ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৯৯০-এর দশকে ইরিত্রিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের (১৯৬১-১৯৯১) পর লোহিত সাগরের বন্দরগুলো হারায় ইথিওপিয়া। ১৯৯১ সালে ইরিত্রিয়া স্বাধীন হওয়ার পর ইথিওপিয়া সমুদ্রপথে সরাসরি প্রবেশাধিকার হারায়। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সোমালিল্যান্ডের লোহিত সাগরের বন্দর বেরবেরা ব্যবহারের অনুমতি পায় ইথিওপিয়া। এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।