বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলমান থাকবে: চীন

0
6


তাইওয়ানের চারপাশে চলমান সামরিক কার্যকলাপ নিয়ে অবশেষে তাদের বক্তব্য দিলো চীন। শুক্রবারের (১৩ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহড়া আয়োজন করা বা না করা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে চীনের সামরিক বাহিনী সবসময় লড়াই করবে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।   

সম্প্রতি হাওয়াই দ্বীপ ও যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম অঞ্চলে সফর রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। এই সফরের সঙ্গে চীনের মহড়ার সম্পর্ক আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বা না সূচক বিবৃতি দেওয়া বদলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাচীন চীনা সমর কৌশলবিদ সান জুর উদ্ধৃতি উল্লেখ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জলের যেমন নির্দিষ্ট কোনও আকার নেই, তেমনই যুদ্ধের কোনও নির্দিষ্ট অবস্থা নেই। সান জুর এই মূলমন্ত্রের অর্থ, যুদ্ধ পরিস্থিতি সবসময় পরিবর্তনশীল।

তারা আরও বলেছে, মহড়া আয়োজন করা বা সেটা কখন করা হবে, তা প্রয়োজন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী চীন নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে। মহড়া হোক বা না হোক, স্বাধীনতা বিরোধী ও দেশ একত্রীকরণের লড়াইয়ে পিপলস লিবারেশন আর্মি কখনও ছাড় দেবে না। 

সোমবার চীনের ব্যাপক সামরিক কার্যক্রমের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সতর্কতা জারি করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বেইজিংয়ের কার্যক্রম শুধু দ্বীপের আশপাশেই নয়, বরং পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্তও বিস্তৃত হয়েছিল হয়েছিল।

কোনও পূর্বঘোষণা ছাড়াই মহড়া শুরু করেছিল বেইজিং। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজের এলাকা হিসেবে দাবি করে থাকে চীন, যা তাইপেইর সরকার সবসময় প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ কেবল তার জনগণই নির্ধারণ করতে পারে।

চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিদেশি শক্তির উপর নির্ভর করে স্বাধীনতা অর্জনের প্রচেষ্টা করলে তার চড়া মাশুল গুনতে হবে। 

সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের ঘনিষ্ঠতাকে ইঙ্গিত করে ধরনের সতর্কতামূলক বক্তব্য দিয়ে থাকে তারা। 

চলতি বছর তাইওয়ানের চারপাশে দুটি সামরিক মহড়া করেছে চীন। সর্বশেষ মহড়া লাইয়ের জাতীয় দিবস উদ্‌যাপনের প্রতিক্রিয়ায় অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমে সেটি একটি সতর্কবার্তা ছিল বলে দাবি করে চীন জানায়, প্রয়োজনে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

লাইয়ের মার্কিন সফরের সময় চীন মহড়ার আয়োজন করবে বলে ধারণা করছিলেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। হবু ট্রাম্প প্রশাসনকে চীনের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করার জন্যও তারা এই আয়োজন করে থাকতে পারে।

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর (ডি-ফ্যাক্টো) দূতাবাস জানিয়েছে, চীনের সামরিক কার্যক্রমের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তি হলেও লাইয়ের মার্কিন সফরের প্রতিক্রিয়ার মতো ব্যাপক আকারে দেখা যাচ্ছে না।

সোমবার দিনের শেষভাগে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, জরুরি সতর্কতা সংকেত স্থগিত করা হয়েছে। এতে অনুমান করা যায়, চীনের সাম্প্রতিক সামরিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
শুক্রবার সকালে মন্ত্রণালয় জানায় যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২টি চীনা সামরিক বিমানকে আশপাশে দেখা গেছে। আগের দিনের প্রতিবেদনে ৩৪টি বিমানের উপস্থিতির কথা উল্লেখ ছিল।

তাইওয়ানের কোস্ট গার্ড শুক্রবার জানায়, দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের কাছে অবস্থানরত নয়টি চীনা কোস্ট গার্ডের জাহাজ উত্তরে চলে গেছে। গত কয়েক দিনে তারা বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।





Source link

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here