শরীয়তের বিধান হলো যদি কারো নামাজের মধ্যে ওজু ভেঙে যায়,তাহলে সে সঙ্গে সঙ্গে ওজু করার জন্য যাবে। জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলে কাতার ভেঙে দিয়ে সে পেছনের কাতার ফাকা করে মসজিদ থেকে বের হবে, চাইলে নাকের উপর হাত রেখেও বের হতে পারে।
এক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ যেনো তার থেকে প্রকাশ না পায়, (যেমন কারো সঙ্গে কথা বলা,ইত্যাদি) ওজু করে এসে তার ছুটে যাওয়া আগে আদায় করবে, এক্ষেত্রে তাকে কিরাআত পড়তে হবেনা, তারপর ইমামের সঙ্গে শরীক হয়ে তার সঙ্গেই সালাম ফেরাবে।
আর যদি ইতোমধ্যে ইমাম সালাম ফিরিয়ে দেয়, তাহলে তার নামাজ পুরো করে সে নিজেই সালাম ফিরিয়ে দিয়ে নামাজ শেষ করবে।
উল্লেখ্য যে কাতার ফাকা করে ওজু করতে যাওয়ার সময় সে যদি চায়, নাকে হাত দিতে পারে। যাতে করে মুছল্লিরা বুঝে নিবে যে তার ওজু ভেঙে গেছে, তাতে সবাই দ্রুত তার যাওয়ার জন্য জায়গা ফাকা করে দিবে।
আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাজরত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, সে ওজুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং ওজু করে আসবে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা- ৫৯৫০)
সালমান ফারসী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কারো যদি নামাজে ওজু ছুটে যায় তাহলে সে যেন বের হয়ে ওজু করে আসে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা- ৫৯৫৪)