দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে আচরণবিধি ভাঙায় বাংলাদেশের পেসার মারুফ মৃধাকে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিলেও আচরণবিধি ভাঙার দায়ে মারুফ এ শাস্তি পেলেন। মৌখিকভাবে তিরস্কারের পাশাপাশি তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ডিমেরিটস পয়েন্ট। আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এটি জানানো হয়।
গত শনিবার ব্লুমফন্টেইনে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে আইসিসির আচরণবিধির লেভেল ১–এর ২.৫ ধারা ভেঙেছেন মারুফ। ভারত অনূর্ধ্ব–১৯ দলের ইনিংসে এই ঘটনা ঘটেছে ৪৪তম ওভারে। ব্যাটসম্যান আরাভেল্লি আভানিসকে আউট করে আক্রমণাত্মকভাবে তাঁকে দুবার ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার অঙ্গভঙ্গি করেন মারুফ। ভারতের বিপক্ষে সেদিন ৮৪ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল।
ম্যাচে ৫ উইকেট পাওয়া মারুফ খেলোয়াড় ও খেলোয়াড়দের সাপোর্ট স্টাফ আচরণবিধির ২.৫ ধারা ভাঙেন। এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যাটার আউট হওয়ার পর তার প্রতি এমন কোনো ইঙ্গিত, অঙ্গভঙ্গি কিংবা আচরণ করা, যা তাকে উত্তেজিত করে তোলে।’ মারুফের নামের পাশে ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করেছে আইসিসি।
অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচে বল হাতে ভালো করেছেন মারুফ। দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেট নেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর প্রথম ম্যাচে পেয়েছেন ৫ উইকেট।
আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মারুফ নিজের ভুল স্বীকার করে ম্যাচ রেফারি শাইদ ওয়াদভাল্লার শাস্তি মেনে নিয়েছেন। এ জন্য আর আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। সে ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার ডনোভান কচ, নাইজেল দুগুইগ, তৃতীয় আম্পায়ার আলাহউদিয়েন পালেকার এবং চতুর্থ আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরে অভিযোগ গঠন করেন মারুফের বিরুদ্ধে।
লেভেল ১ আচরণবিধি ভাঙলে ন্যূনতম শাস্তি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার বা ভর্ৎসনা করা হয়। সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ অর্থ জরিমানা এবং ১টি কিংবা ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট।