স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক সফল কারিগর হারুন-উর-রশিদ আসকারী

ইবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি সবার ক্ষেত্রেই চির অম্লান। সর্বোচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্র-ছাত্রীরা বর্ণিল জীবনের স্বপ্ন দেখে। যৌবনের উত্তাল সময়ের স্বপ্নিল শিক্ষাজীবন শেষে প্রবেশ করে কর্মজীবনে। কঠোর বাস্তবতার কর্মজীবনে ফেলে আসা রূপালী আভার স্বর্ণালী সেই দিনগুলোর কথা নিত্যনতুন ঘটনার ভারে চাপা পড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেই স্মৃতি উঁকি দেয়ার সুযোগ পেলেই ফিরে যেতে মন চায় ছাত্র-জীবনের সেই মধুরতম সময়ে। বন্ধুত্ব, ভালবাসা, শিক্ষক শব্দগুলো একই সূত্রে গাঁথা। ভালবাসার ক্যাম্পাসের মুখরিত শৈশবগুলোর স্মৃতি আজও অমলীন ও মধুর বটে। ক্যাম্পাসের দিনগুলির কথা মনে করলে অনেক স্মৃতিবিজড়িত সময়ের কথাগুলো মনের আয়নায় ভেসে ওঠে। কতই না মধুর ছিল সেই সময়টা। বিকেলে ঘুরতে যাওয়া, কর্পোরেট এই জীবনে ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া গুলো কেমন আছে?? বড্ড জানতে ইচ্ছে হয়।
আমার ১৯৯১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালেয় পথচলা। এরপর ক্যাম্পাসের প্রতিটি বিন্দুতে মিশে রয়েছে আমার ভালোবাসা। তার একটা বড় কারন আমি এই ক্যাম্পাসের প্রথম ব্যাচের ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই আমার জন্ম স্থান। সে কারণে ভালোবাসাটা সবার থেকে একটু বেশি এবং আলাদা। তবে এর মধ্যেও কিছু কথা না বললেই নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অনেক আসে অনেক যায়। তবে নিজ সন্তানের মত বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবেশে আকড়ে ধরে উচ্চ থেকে সুউচ্চে নিয়ে যাওয়ার মত ভিসি কজন হয়? বিশ্ববিদ্যালয়ের এযাবৎ কাল যতগুলো প্রশাসন এসেছে সবাইকে কাছে থেকে না চিনলেও মিডিয়াতে কাজ করা সুবাদে সবার আদ্যপ্রান্ত আমার জানা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু হীনমন্য সম্পুর্ন ব্যাক্তির কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা বা অবকাঠামো উন্নয়ন সঠিক ভাবে হয়নি।। সম্ভাবনা ময় এই বিদ্যাপিঠ বার বার তার লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে হোঁচট খেয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থ আর দুর্নীতিবাজদের অপতৎপরতায় নিজে দুর্নীতির সাথে আপোষ করায় কোন উপাচার্য তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারিনি। কিন্তু আমার দেখা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সেরা উপাচার্য আমার শ্রদ্বেয় শিক্ষক ড. হারুন উর রসিদ আসকারী। লোভ লালসার উর্দ্ধে থেকে সফলতার সাথে পার করলেন চারটি বছর। যিনি দুর্নীতিবাজ বা দূর্নীতি উর্দ্ধে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন এবং তা সফল হয়েছেন। বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন করোনাভাইরাস আতঙ্কে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে অক্ষম ঠিক তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শিক্ষকদেরকে অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করতে বলেছেন, এটা ছিল তার একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিশ্ববিদ্যালয় দুই তিনজন ব্যাক্তি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা প্রচার করলেও তার এই সফলতা ম্লান হয়ে যায় না। কারন সত্য কখনো ছায় দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। আর সপ্তাহ খানেক পরেই তিনি চার বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষ করবেন। অথচ বিগত চার বছর এই বিশেষ মহল তার বিরুদ্ধে কোনো একটি দুর্নীতির কথা বা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারে নাই, এমন কি সরকারের বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাও তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নীতির প্রমান করতে পারেনি এখন গুটি কয়েক ব্যাক্তি তাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এবং এলাকাবাসীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি ডক্টর হারুন-উর-রশিদ আসকারী আমার শ্রদ্ধেয় স্যার আবার দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচর্য হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পাবলিক ইউনিভার্সিটির মধ্যে সবচেয়ে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আর যদি এটা না হয় তাহলে মিথ্যা অপবাদ কারী হায়না-শুকুন গুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রাস করবে। যা আমরা কখনো প্রত্যাশা করি না। তাই ভালো থকেো আম, ছায়া ঢাকা ক্যাম্পাস, ভালো থকেো। ভালো থকেো ঘাস, ভোররে বাতাস, ভালো থকেো। ভালো থকেো রোদ, মাঘরে কোকলি, ভালো থকেো বক, আড়যি়ল বলি, ভালো থকেো নাও, মধুমতি গাও,ভালো থেকো।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট মোঃ সাইফুল ইসলাম
এজিএম, আনন্দ টিভি